ইমাম হোসেন মনা,বাউফল প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে একই পরিবারের চারজনকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে এক গৃহবধূ ও ১২ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার রাতে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে এ ঘটনাটি ঘটেছে। রবিবার স্থানীরা অভিযুক্ত মো. জসিম উদ্দিনকে (৪২) আটক করে বাউফল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। জসিম উদ্দিন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আলী হোসেনের ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ওই গৃহবধূর বাড়িতে মেহমান আসে। দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার পরে তারা চলে যায়। বিকালে জসিম পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে। বিষয়টা মেয়ের নজরে আসলে মাকে জানায়। তখন গৃহবধূ পিছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢোকার কারণ জানতে চাইলে জসিম হাস্যরসিক সূরে বলেন, ‘মেহমানগো খাওয়াইলা,আমারে খাওয়াইবানা’ একথা বলে চলে যায়। ওই দিন (শনিবার) রাতে খাবার খেয়ে ওই পরিবারের চারজন সদস্য ঘুমে অচেতন হয়ে পরে। সকালে শাশুড়ি এসে সকলকে অসুস্থ অবস্থায় দেখলে ডাক-চিৎকার শুরু করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ওই গৃহবধূর ভাষ্যমতে, জসিম উদ্দিনকে স্থানীয়রা আটকে করে বাউফল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘আমি নদীতে মাছ ধরতে গেছিলাম। এই সুযোগে জসিম আমার স্ত্রীসহ তিন ছেলে-মেয়েকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে আমার স্ত্রীর সাথে অপকর্ম করে। মেয়ের বিষয়ে বলেন- বাবা হিসাবে আমি একথা ক্যামনে মুখে আনি। তিনি বলেন, আমি বিচারের জন্য থানায় মামলা করবো। গৃহবধূ চিকিৎসাধীন থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আলমগীর বলেন, ‘জসিম একজন খারাপ লোক। তার বিরুদ্ধে এ জাতীয় একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাছ মোল্লা বলেন, ওই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জসিমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাউফল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন আমাদের হেফাজতে আছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply